নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ সিএনজি চালক শিপন মিয়াকে (২৪) হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। শিপন মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার কালিনগর এলাকার বাসিন্দা মৃত রহিছ আলীর ছেলে। বুধবার বিকেলে সরেজমিন তার বাড়িতে গেলে শিপনের মা, স্ত্রী ও বোনেরা এ দাবি করেন।
তারা জানান, চলতি বছরের ২৩ জুলাই শিপন মিয়াকে যাত্রী আনার কথা বলে বাড়ি থেকে শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুরে নিয়ে পরিকল্পিকভাবে হত্যা করা হয়। প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল গ্রামে পীরের বাড়িতে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। তার মরদেহ বাড়িতে (কালিনগর) নিয়ে এসে পরে নিয়ে যাওয়া হয় চুনারুঘাট থানায়। সেখান থেকে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। এ ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ৪ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোন সুবিচার পায়নি তার পরিবার। ময়না তদন্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করে আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন বলেও জানান স্বজনরা। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন তারা। মামলা করার পর প্রকৃত হত্যাকারীদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনা প্রকাশ হবে বলেও দাবি স্বজনদের।
একমাত্র উপার্জনক্ষম শিপন মিয়াকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এ কারণে পরিবারে অভাব অনটন লেগেইে রয়েছে। তারা এ ঘটনার সুবিচার দাবি করেন।
শিপন মিয়ার স্বজনরা জানান, শিপন মিয়ার মাসহ তিন বোন রয়েছে সংসারে। শিপন একই এলাকায় বিয়ে করে। শাম্মী আক্তার নামে তার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। শিশু সন্তানটি তার বাবাকে এখনও খুঁজে বেড়ায়। স্ত্রী আকলিমা আক্তার স্বামীর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। একইভাবে মা তার ছেলেকে ও বোনরা তাদের ভাইকে ভুলতে পারছে না।