স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে ‘বালু সেলিম সিন্ডিকেটের’ কবল থেকে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে দখল করে রাখা বালু তোলার কার্যক্রম বন্ধ এবং প্রভাবশালী আবদাল আনসারী গং কর্তৃক দখলে থাকা সরকারী সম্পত্তি দখল অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার আশ্রাবপুর গ্রামে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহবুব আলম মাহবুব’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৪২৩ ও ৪২৪ দাগের ৪৫ শতক সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত জায়গা উদ্ধার করা হয়। একই সাথে উদ্ধারকৃত জায়গায় লাল নিশান টানিয়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, আশ্রাবপুর গ্রামের প্রভাবশালী আবদাল মিয়াসহ ‘বালু সেলিম সিন্ডিকেট’ চক্র দীর্ঘদিন যাবত সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ওই জায়গা নিজেদের বলে এলাকায় প্রচার করে আসছিল। একই সাথে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে দখল করে ভোগ করছিল। সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত ছাড়াও খুরশিদ মিয়া নামে এক নিরীহ ব্যক্তির ভূমি জবর দখল করে রেখেছিল আবদাল মিয়াসহ তার লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে অভিযান চালিয়ে সরকারি খাস জায়গাটি উদ্ধার করে লাল নিশান টানিয়ে সীমানা নির্ধারণের পাশাপাশি জবর দখল করে রাখা খুরশিদ মিয়ার জায়গাতেও অবৈধ কার্যক্রম না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।
নিরীহ খুরশিদ মিয়া জানান, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে দখল করে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছিল প্রভাবশালীরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ ভৌমিক-এর নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিসহ ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা সেখানে সরেজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা পান। পরে বালু উত্তোলনেরর জন্য জায়গার ভাড়া কাগজ নামার ৪২৬ দাগের ভূমিটি সরকারী খাস ভূমি ৪২৩ ও ৪২৪ দাগের সীমানায় মধ্যে থেকে আলাদা করে লাল নিশানা টানিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমার ৪২১ ও ৪২২ দাগের এবং ২৪১, ২৪২ ও ২৪৫ দাগের মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, যারাই সরকারি জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইউএনও বলেন, সরকারি ৪৫ শতক ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে নিরীহ খুরশিদ মিয়ার জায়গায় যাতে করে অবৈধ দখলদাররা কার্যক্রম না চালাতে পারে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com