অতিথি সাংবাদিকের কলাম…
রাজীব দেব রায় রাজু
প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে একজন শিক্ষিকা। শুধু শিক্ষা নয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, জাতীয় দিবস পালন, বই উৎসব, নিয়মিত হোম ভিজিট, শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তোলা সহ নানা বিষয়ে অবদান রাখছেন তিনি।
মাধবপুর উপজেলার মাঝিশ্বাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তন্নি রহমান। ২০২৩ সালে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে মনোনিত হয়েছেন তিনি। পিতা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় দেশ প্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি রয়েছে আলাদা দরদ। তন্নি রহমান জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো থেকে শিশুদের সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি শিশুদের দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, নৈতিকতা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষার পাশাপাশি শিশুদের নৈতিক শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। বিদ্যালয়ে দৈনিক সমাবেশ, শিশুদের সুন্দর পোশাক নিশ্চিত করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, জাতীয় দিবসগুলো সঠিক ভাবে পালন (যেমন- শোক দিবস, স্বাধীনতা দিবস, জাতির পিতার জন্মদিন) করা হয়। ঝড়ে পড়া রোধে নিয়মিত হোম ভিজিট করেন।
তিনি বলেন- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় বিদ্যালয়ে চিলেকোঠা তৈরী করা হয়েছে। যা শিশুর কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করতে সহযোগীতা করবে। প্রতিটি ক্লাসে ক্লাস লাইব্রেরী গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি শিশুকে নিজের সন্তানের মতো নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে থাকেন তিনি। শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকেন। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমগুলোতে বেশ জোর প্রদান করে থাকেন (যেমন- শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলা, নাচ-গান)।
মাঝিশ্বাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উদ্দিন জানান, এই শিক্ষিকা নিয়মিত হোম ভিজিট করেন। মা সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যালয়ে সুন্দর একটি শিশু কানন তৈরী করেছেন। শিক্ষার্থীদের সুন্দর ফর্মের পোশাক, জুতা, মোজা, ক্যাপ নিশ্চিত করেছেন। ঝড়ে পড়া রোধে অসংখ্য ইনোভেশন হাতে নিয়ে সফল হয়ে বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।
মাধবপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন পরিশ্রমি মানুষ। শিক্ষার পাশাপাশি তিনি শিশুদের দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বলে থাকেন। এই রকম উদার শিক্ষক হওয়া গর্বের।