হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চাল বিতরণের চেষ্টা করেছি ॥ মেয়র সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিহীনদের জন্য ঘর উপহার দিয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মাঝে ইতিমধ্যে ৮টি উপজেলা ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার ‘চাল বিতরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনেক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। তিনি চান দেশের মানুষ যেন ভাল থাকে। এজন্যই চালু হয়েছে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সন্তান সম্ভবাদের জন্য ভাতা ইত্যাদি।’ জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘প্রতিবন্ধীদের দেখার কেউ থাকে না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের জন্য শুধু ভাতার ব্যবস্থাই করেননি এমনকি প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রও স্থাপন করেছেন।’ জেলা প্রশাসক ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী পালনের জন্য হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের শিরিষতলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে খাদ্য শস্য (চাল) বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। বন্যা, নদীভাঙ্গন, ঘুর্নিঝড় ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে এ চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। মেয়র বলেন, ‘হবিগঞ্জ পৌরএলাকার ৯টি ওয়ার্ডে দুই পর্যায়ে ১ হাজার কার্ডধারী ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভায় যারা প্রকৃতপক্ষে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় তাদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।’ মেয়র বলেন,‘সকল দুর্যোগে প্রধানমন্ত্রী দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান।’ তিনি উপস্থিত সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, সহকারী কমিশনার মঈন খান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ও ক্রীড়া সংগঠক আব্দুর রহমান। হবিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলরদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গৌতম কুমার রায়, টিপু আহমেদ, শাহ সালাউদ্দিন আহাম্মদ টিটু ও আলাউদ্দিন কুদ্দুছ। অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী ছিলেন হবিগঞ্জ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মর্কতা মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এই পর্যায়ে ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৫শ’ কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এর আগে ১ম পর্যায়ে ১,২,৩,৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের ৫শ কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছিল।