সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, বিশ্বে শিল্পায়ন হয়েছে প্রকৌশল বিদ্যার হাত ধরে। আর শিল্পায়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ফলাফল হলো উন্নয়ন। শিল্পায়ন ও উন্নয়ন একইসূত্রে গাঁথা। তাই শিল্পায়ন ও উন্নয়নে প্রকৌশল বিদ্যার অবদান অপরিসীম। আর প্রকৌশল বিদ্যার ‘আত্মা’ হলো ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। শিল্পোন্নত ও উন্নত দেশের কাতারে ধাবিত বাংলাদেশে এটি একটি সম্ভাবনাময় পেশা। এ বিষয়টি সামনে রেখে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ইইই বিভাগ থেকে ডিগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের গ্যাস, বিদ্যুত, টেক্সটাইল, টেলিকম, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, অটোমোবাইল, রোবটিক্স খাতের উচ্চপদে চাকুরী করছেন, আবার অনেকেই বিদেশে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার ও ডিজাইন নিয়ে গবেষণা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি জাগিয়ে তুলতে চাই। উদ্ভাবনী শক্তির হাত ধরেই মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় কনফারেন্স হলে ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এমইউ রোবটিক্স ক্লাব আয়োজিত ‘ইন্ট্রোডাক্টরি রোবটিক্স কোর্স’ এর সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এমইউ রোবটিক্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ইইই বিভাগের প্রভাষক মোঃ আনোয়ারুল কাওসারের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক অর্পিতা মজুমদারের সঞ্চালনায় সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল হক চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্ঠা ড. এজেডএম আশরাফ, ইইই বিভাগের প্রধান কাজী ওহিদুজ্জামান, প্রভাষক মোঃ হাছানুর রহমান সোহাগ, সাদমান সাকিব, মাহিম আহমেদ, মোঃ ফারদিন আহসান মারাজ, ইইই বিভাগের এলামনাই শান্তি বাবু প্রসাদ রায় প্রমূখ। পরে ভাইস চ্যান্সেলর ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ রোবটিক্স কোর্স সম্পন্নকারী বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। বিজ্ঞপ্তি