স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের মৃত আনজব আলীর ছেলে জলাই মিয়া (৪৫) ও তার ভাই নশাই মিয়া (৩২)।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত শুক্রবার দুপুরে লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের রায়হান মিয়া একই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামের মাজু মিয়ার ছেলে আলজার মিয়াকে নিয়ে মোটর সাইকেলযোগে সুনেশ^র গ্রাম থেকে বুল্লা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে সিংহগ্রামের পশ্চিম দিকে যাওয়া মাত্রই তারা সাইকেল থেকে পড়ে যান। এতে আলজার মিয়ার পা কেটে যায়। এ দুর্ঘটনাকে মারামারির ঘটনা সাজিয়ে সিংহগ্রামের জলাই মিয়া ও তার ভাই নশাই মিয়াকে আসামী করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে আলজার মিয়া।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আলজার মিয়ার দুই ভাতিজিকে সুনেশ^র গ্রামের মাসুক মিয়া অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে আটক করে রাখে। ঘটনার দিন আলজার মিয়া তার দুই ভাতিজিকে উদ্ধার করতে মোটর সাইকেলযোগে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে সিংহগ্রামের পশ্চিম দিকে যাওয়া মাত্রই জলাই ও তার ভাই নশাই মিয়াসহ ৩/৪ জন ব্যক্তি তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হন।
এদিকে, মামলার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সড়ক দুর্ঘটনাকে মারামারি সাজিয়ে মামলা দেয়ায় এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জলাই মিয়া বলেন, ‘আলজার মিয়া আমার স্ত্রীর আপন ছোট ভাই। আমার সাথে তার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই এবং ওই দিন তার সাথে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। সে আমার স্ত্রীর পিত্রালয়ে পাওয়া সম্পত্তি আত্মসাত করতে আমি ও আমার ভাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে। সে খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে লাখাই থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোমান চৌধুরী বলেন, ‘মারামারি হয়েছে বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে কয়েকদিন আগে মোটর সাইকেল থেকে পড়ে আলজার মিয়া আহত হয়েছে বলে শুনেছি’।