সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেটরস ফোরাম আয়োজিত এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাসব্যাপী কর্মশালা শেষে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত হয় প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াডের ব্যতিক্রমী আয়োজনটি। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর ও বর্তমানে ঢাকার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিলেশনের পরিচালক প্রফেসর ড. ইউসুফ এম. মাহবুবুল ইসলাম। প্রফেসর এম হাবিবুর রহমান হলে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. ইউসুফ এম. মাহবুবুল ইসলাম বলেন- প্রোগ্রামিংয়ের জগতে আপনি যদি স্বপ্ন দেখাতে সাহস করেন এবং আপনার লক্ষ্যের দিকে নিরলসভাবে কাজ করেন, তবে আপনি যা অর্জন করতে পারেন তার কোন সীমা নেই। তিনি এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াডে তরুণদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হন। তিনি প্রত্যাশা করেন যতদূর সম্ভব তাঁরা সীমানা ছাড়িয়ে যাক। তিনি বলেন- এ অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি দেশে তথ্য প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষায় অনন্য নজির স্থাপন করলো।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন- এমইউ প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়; বরং উদ্ভাবন, বুদ্ধি এবং সংকল্পের একটি উদযাপন। আমরা যখন এই তরুণ প্রতিভার কৃতিত্ব স্বীকার করতে একত্রিত হই, তখন আমাদের মনে রাখা উচিত যে তাদের যাত্রা শিক্ষা এবং অধ্যবসায়ের শক্তির প্রমাণ বিশেষ। সিলেটের বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বপ্নের বীজ বপন করা ছিল এ অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য। তাদের অভাবনীয় সাড়া আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এবারের অলিম্পিয়াডের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগামীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে তা আয়োজিত হবে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি কেবল নিজেদের ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণায় মনোনিবেশ না করে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল হক চৌধুরী, রেজিস্ট্রার তারেক ইসলাম, প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহিদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ফুয়াদ আহমেদ, টেকনেক্সট এর সিইও সৈয়দ রেজওয়ানুল হক রুবেল, অথল্যাবের চীফ টেকনোলজী অফিসার হিরো ইসলাম, বিডি এ্যাপসের সিলেট রিজিওয়নের কমিউনিটি এনগেজমেন্ট লিড মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন নাবিল, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক চৌধুরী নওশাদ আহমেদ, প্রভাষক নাজিয়া সুলতানা চৌধুরী, প্রভাষক রিনা পাল, ওয়াদিয়া ইকবাল চৌধুরী, মশিউর রহমান অতুল প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সানন্দা দেব, ২য় স্কলার্সহোম শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তুর্য সরকার এবং ৩য় স্থান অর্জন করেন জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ তোফাজ্জল আহমেদ সানী।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com