স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের কাগাপাশা গ্রামে জিয়াউর রহমান চৌধুরী নামে এক কৃষকের কাছে ৩০ হাজার চাঁদা দাবি করেছে শামীম চৌধুরী নামে এক যুবক। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে শামীম চৌধুরীর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাগাপাশা গ্রামের মরা কুশিয়ারা নদী থেকে এলাকার লোকজন মাটি উত্তোলন করে বাড়ি আনেন। অভিযোগকারী জিয়াউর রহমান চৌধুরীর কাছে গিয়ে ওই গ্রামের মৃত ফজল মিয়া চৌধুরীর ছেলে শামীম চৌধুরী জানান আপনি সরকারি জায়গা থেকে বেআইনীভাবে মাটি উত্তোলন করেছেন। আমি এ বিষয়টি প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়ে দেবো। এতে অভিযোগকারী জিয়াউর রহমান চৌধুরী বিপদে পড়বেন বলে তাকে জানায় শামীম। তবে ৩০ হাজার টাকা দিলে শামীম তাকে রক্ষা করতে পারবেন বলে জানান। ওই ৩০ হাজার টাকা না দিলে শামীম তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাবেন বলে হুমকি দেন। এ সময় জিয়াউর রহমান জানান, তিনি কোন মাটি বা বালু সরকারি জায়গা বা নদী থেকে উত্তোলন করেননি। তাই তিনি কোন টাকা তাকে দিবেন না। পরবর্তীতে গত ১৩ মার্চ রাতে শামীম ২য় দফায় জিয়াউর রহমান চৌধুরীর কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় শামীম তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে। তার অপপ্রচারে জিয়াউর রহমান, ফয়ছল গংদের সামাজিকভাবে মানহানি হয়। এছাড়াও শামীম তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। শামীমের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে জিয়াউর রহমান তার বিরুদ্ধে গতকাল লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জিয়াউর রহমান জানান, কাগাপাশা মরা কুশিয়ারা নদীর পাড়ের যে রাস্তাটি তৈরী করা হয়েছিল সেই রাস্তার মধ্য স্থানের বক্সের নিচে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে দেয়া হয়েছিল। নদীর তল দেশ থেকে মাটি উত্তোলন করার ফলে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে যাচ্ছে। সে সব নিয়ে শামীম কোন কথা বলেনি। কিন্তু আমাকে নিরীহ পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে চাঁদা দাবি করছে। আমি শামীমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন চাঁদার টাকা না পেয়ে শামীম চৌধুরী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com