স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের উপসহকারি কৃষি অফিসার অর্ধেন্দু দেব এর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। পত্রে তিনি উল্লেখ করেন উপজেলা কৃষি অফিস নবীগঞ্জে কর্মরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ও উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অর্ধেন্দু দেব এর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও অনেক মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করা হলো। উক্ত পত্রের অনুলিপি মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামার বাড়ি ঢাকা, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামার বাড়ি ঢাকা, উপজেলা কৃষি অফিস নবীগঞ্জের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বেও অর্ধেন্দু দেব এর বিরুদ্ধে কর্তব্যকাজে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে। তদন্ত সাপেক্ষে তাকে শাস্তিমূলক বদলীর আবেদন করেন বিসিআইসি সার ডিলার ও কীটনাশক বিক্রেতারা। অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন- তারা নবীগঞ্জ উপজেলার বিসিআই সার ডিলার ও খুচরা সার বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতা। তারা জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি নিরলস কাজ করছেন। তারা নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলেও অর্ধেন্দু দেব এর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের ওই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে পারছেন না। অর্ধেন্দু দেব উপ-সহকারি কৃষি অফিসারের দায়িত্বের পাশাপাশি একই উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার হিসেবে পদায়ন হন। তিনি কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর ব্লকের দায়িত্বে থাকাবস্থায় ব্লকের কোন কৃষক তাকে মাঠে দেখেনি। কৃষকরা তাকে চিনে না। ফলে কৃষকরা কৃষি পরামর্শ থেকে বঞ্চিত হন। তাছাড়া তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে কীটনাশক ও খুচরো সার বিক্রেতা জনৈক নূর আলীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লাইসেন্স করিয়ে দেয়ার নামে টাকা দাবি, বিভিন্ন ডিলার ও রি-ডিলারের কাছে নিজেকে কৃষি অফিসার পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন, মন্ত্রীর পিএস তার বন্ধু পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার, ফার্মের বাজারের বসির মিয়া নামে এক বীজ বিক্রেতাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবিসহ নানা অভিযোগ উঠে।