সুমন আহমেদ বিজয় ॥ দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ঝুলে থাকা একটি হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করেছেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিজ্ঞ বিচারক সুদীপ্ত দাস।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা গ্রামে বাদীর বসতবাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে আসামীগণ ভিকটিম সৈয়দ মিয়াকে লাঠি, দা, বল্লম, ফিকল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২৬ জনকে আসামী করে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মোঃ আহাদ মিয়া। মামলা নং জিআর-২৭৮/০৭। ২০১১ সালে মামলার চার্জ গঠিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত আসামীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরকারের নির্দেশনা মতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে বাদী সহ তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামীদেরকে ওই মামলা থেকে খালাস প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক সুদীপ্ত দাস।
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মামলাগুলো নিষ্পত্তি হওয়ায় বিচার প্রার্থীদের মধ্যে স্বস্থি দেখা দিয়েছে এবং আদালতের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিচার প্রার্থীগণ। দীর্ঘদিনের পুরাতন মামলা নিষ্পত্তির বিষয়কে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী মাইলফলক বলে মনে করেন বিচার প্রার্থীগণ।
মামলার প্রধান আসামী সাহিদ মিয়া আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট হয়ে বলেন- দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হলে আমাদের মত বিচার প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম বলেন, সরকারের নির্দেশনা মতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান চৌধুরী তারন বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে মামলার জট কমাতে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, একদিনে সর্বোচ্চ ৪৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে গত নভেম্বর মাসে ২০৫টি ও জানুয়ারি মাসে ১৩০টি মামলা নিষ্পত্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০১ এর বিজ্ঞ বিচারক সুদীপ্ত দাস।