স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরী অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চুনারুঘাট উপজেলার চাটপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ষোড়শী কন্যা গত ৯ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে তার এক বান্ধবীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিল। এ সময় একই উপজেলার গনেশপুর গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র কাওসার মিয়া (২২) ও তার সহযোগীরা ওই কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং শায়েস্তানগর এলাকার কাদির মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসায় তাকে নিয়ে রাত্রিযাপন করে। এরকম আরও অনেক বাসায় রাত্রিযাপন করে। মেয়েকে কোথাও না পেয়ে তার পরিবার নিরুপায় হয়ে ২৮ জানুয়ারি বড় বোন সালমা আক্তার চুনারুঘাট থানায় জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৯ এর একটি দল মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে ওই কিশোরীকে ৩১ জানুয়ারি উদ্ধার করে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়। এদিকে পরিবারের জিম্মায় যাবার পর ওই কিশোরী একাধিকবার ধর্ষণ হয়েছে বলে তার বোনকে জানায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। এেিদক, ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বোন সালমা জানান, তাকে লম্পট কাওসার একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। জিডির বলে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোঃ আলী আশরাফ জানান, এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোনো মামলা হয়নি। অভিযুক্ত কাওসারকে ধরতে অভিযান চলছে।