কামরুল হাসান ॥ শীতকালে শীতের হাত থেকে বাঁচতে যেসব পাখি ওদের নিজ দেশের চেয়ে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে, তাদেরকে বলা হয় অতিথি পাখি বা পরিযায়ী পাখি। প্রতিবছর শীতকালে আমাদের দেশেও কিন্তু এরকম কিছু অতিথি পাখি আসে। ওরা আসে মূলত হিমালয়ের পাদদেশ আর রাশিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে। তেমনি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কিছুু অতিথি পাখির দেখা পাওয়া যায়। দিনের বেলা অতিথি পাখিগুলো খাবারের খোঁজে বিভিন্ন হাওর বিলে চলে যায় এবং সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে শায়েস্তাগঞ্জ সরকারি মৎস্য খামার অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে।
জানা গেছে, এক সময় এই খামারে প্রচুর অতিথি পাখি আসতো। কিন্তু অবাধে পাখি শিকারের ফলে পাখি আসা অনেটাই কমে গিয়েছিল, তবে গত কয়েকবছর ধরে আবারও অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে মৎস্য খামারে। শীতের শুরুতেই শীত প্রধান দেশ বিশেষ করে সাইব্রেরীয়া থেকে বালিহাঁস, খয়রা, পানকৈর, চকাচকি, বুনোহাঁস, কাদাখোঁচা ও সরালি পাখিগুলো এখানে আসতে শুরু করেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ ঘেষেই সরকারি মৎস্য খামার। এই খামারে ছোট বড় ২০টি পুকুর রয়েছে। পুকুর পাড়ে রয়েছে কড়ই গাছ। সন্ধ্যা হবার আগেই ঝাকে ঝাকে অতিথি পাখিগুলো আশ্রয়ের খুঁজে আসতে থাকে খামারে। গাছে গাছে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে এ এলাকা।
খামার ব্যবস্থাপক মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন, গত বছরের মতো এবছর অনেক পাখি নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় এখানে এসেছে। এখানে গাছপালা বেশি থাকায় পাখিরা নিরাপদ আশ্রয় মনে করে। একই সাথে আমরা পাখি শিকার না করার ব্যাপারে সব সময় সতর্ক।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, এই মুহূর্তে জরুরি কাজ হচ্ছে পাখিদের কোনোভাবে বিরক্ত না করা। অতিথি পাখির নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীসহ স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগী হতে হবে।