ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও লাখাইয়ে চলছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা
সুমন আহমেদ বিজয়, লাখাই থেকে ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও লাখাইয়ে চলছে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা। এমনই এক প্রচারণার উঠান বৈঠকে দ্বন্দ্বের জের ধরে বামৈ ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক সর্দার ও হাজী মোঃ আমজাত হোসেন ফুরুক এর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল ও লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোঃ আমজাত হোসেন ফুরুক এর বাড়িতে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শেষ মুহূর্তে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক সর্দারের সমর্থক আব্দুর রহমান সর্দার উঠান বৈঠকে কথা বলতে চাইলে হাজী মোঃ আমজাত হোসেন ফুরুক এর সমর্থকরা বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক সর্দার বলেন এটা বামৈ পূর্ব মহল্লার মিটিং ছিল। আমাকে সহ সবাইকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল কিন্তু মিটিং এ আমার সমর্থকরা গিয়ে দেখে এটা ফুরুক হাজীর সমর্থনের মিটিং। তখন আমার সমর্থকরা কথা বললে ফুরুক হাজীর সমর্থকরা আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আমার ৬ থেকে ৭ জন সমর্থক আহত হয়।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মোঃ আমজাত হোসেন ফুরুক বলেন- আমার বাড়িতে আমার সমর্থনে উঠান বৈঠকের শেষ মুহূর্তে ফারুক সর্দারের চাচাত ভাই আব্দুর রহমান সর্দার মিটিংয়ে কথা বলতে চায়। তাকে উঠান বৈঠকে কথা বলতে না দিলে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই ২০/২৫ জন লোক নিয়ে আব্দুর রহমান সর্দার আমার উঠান বৈঠকে হামলা চালিয়ে ৮ থেকে ১০ জনকে আহত করে।
লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।