স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্ট্যাম্প ভেন্ডার হিসাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আব্দুস সামাদ দুবাই আছেন। প্রবাসে থাকলেও তার নামে জাল স্বাক্ষর দিয়ে স্ট্যাম্প ভেন্ডার হিসাবে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। আব্দুস সামাদের মোবাইল নাম্বারসহ সাইনবোর্ড টাঙ্গানো জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণের একটি অস্থায়ী দোকানে দেদারছে স্ট্যাম্পও বিক্রি করা হচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের ধল গ্রামের কাজল মিয়ার পুত্র আব্দুস সামাদ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্প ভেন্ডার হিসাবে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হন। তার লাইসেন্স নং ৫৫/১৭। গত ৬ ফেব্রুয়ারি আব্দুস সামাদ প্রথমে ভারত ও পরে দুবাই যান। তার লাইসেন্স এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই প্রবাসে থাকা আব্দুস সামাদের স্বাক্ষর জাল করে স্ট্যাম্প ভেন্ডারের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী একজন স্ট্যাম্প ভেন্ডার নিজে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে স্ট্যাম্প উত্তোলন ও বিক্রি করবেন। তদঅনুযায়ী রেজিস্ট্রি খাতা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করবেন। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ট্রেজারী অফিসারকে রেজিস্ট্রি খাতা প্রদর্শনপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহনেরও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আব্দুস সামাদ এর কিছুই করেননি। তবে তার নামে ঠিকই প্রতিদিন স্ট্যাম্প বিক্রি করা হচ্ছে। একটি সূত্র জানায় বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে যে স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হয় তার সিরিজ নং খক- এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে যে স্ট্যাম্প সরবরাহ করা হয় তার সিরিজ নং কঝ, খখ। আব্দুস সামাদের নামে যে নিয়মিত স্ট্যাম্প বিক্রি করা হচ্ছে তা কঝ সিরিজের নাম্বারযুক্ত। একাধিক স্ট্যাম্প ভেন্ডার অভিযোগ করেছেন- চোরাই পথে কিংবা জালজালিয়াতি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে স্ট্যাম্প এনে হবিগঞ্জে অধিক দামে বিক্রি করা হচ্ছে। একটি অসাধু চক্র স্ট্যাম্প সংকটের সময়কে পুঁজি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। গত ২৮ অক্টোবর আব্দুস সামাদের সীল ও জাল স্বাক্ষর যুক্ত স্ট্যাম্প ক্রয় বিক্রয় হয়েছে হবিগঞ্জে। যার ক্রমিক নং ২১৮, ২১৯, সিরিজ নং কঝ-৭৮০৪১১১। আব্দুস সামাদ এখনও দুবাই অবস্থান করছেন। একাধিক স্ট্যাম্প ভেন্ডার দাবি করেছেন- এটি এক ধরনের প্রতারণা। এসব জালজালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ধল গ্রামের মোঃ ছোরাব হোসেন একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।