স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে দুই পা হারানো ৩য় শ্রেণির ছাত্রী তাজরিন আক্তার নদীকে ৫ লাখ টাকার মানবিক সহায়তা করেছে লন্ডনভিত্তিক সংগঠন প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। বুধবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্কুলছাত্রী নদীর হাতে ৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র তুলে দেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গাজিউর রহমান এমরানের পরিচানায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাউড টু বি সিলেটি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি তোফাজ্জল সোহেল। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান নিয়ন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আদিল মোঃ জজ মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল্লাহ সরদার, শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আ স ম আফজল আলী, সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রতন প্রমুখ।
এর আগে ২২ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র নদীর চিকিৎসার জন্য অনির্বাণ লাইব্রেরীর পক্ষে নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। নদীর হাতে উক্ত টাকা তুলে দেন অনির্বাণ লাইব্রেরীর উপদেষ্টা নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে শায়েস্তাগঞ্জের তালুকহড়াই গ্রামে মর্জিনা খাতুনের নির্মাণাধীন বাসার ছাদে ফেলে রাখা বিদ্যুতের মেইন লাইনে স্পৃষ্ট হয় নদী। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সিলেটে কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৭ মে নদীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ৪ জুন চিকিৎসকরা কোন উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে তার দুটি পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলেন। এরপর থেকে চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন নদীর বাবা রফিক মিয়া। তার শেষ সম্বল জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি করে সর্বশান্ত হয়েছেন।