নবীগঞ্জ প্রতিনিধি \ নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রাম শেখ পাড়া এলাকার একটি প্রবাসী পরিবার দুর্বৃত্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। দুর্বৃত্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং বিভিন্ন স্থানে ওই পরিবারের প্রবাসী স্ত্রী খেলন বেগমের বিরুদ্ধে অশ্লালীন কথাবার্তা লিখে প্রচার করায় পরিবারে নেমে এসেছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অন্তকলহ। দেখা দিয়েছে সংসারে ভাঙ্গন। প্রবাসী স্বামী স্ত্রী খেলন বেগমকে ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া দুর্বৃত্তদের ভিত্তিহীন ফেসবুকে লেখালেখির কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী খেলন বেগম। তাদের ভয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বোনের বাসায় নবীগঞ্জ শহরে। তার পবিারের লোকজন বলেন, উক্ত দুর্বৃত্তদের উৎপাত এবং ইভটিজিংয়ের কারণে খেলন বেগম যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন খেলন বেগমকে। তার জীবন চরম বিপন্ন। আতংকিত ওই প্রবাসী পরিবার গত ৮ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন। উক্ত মামলা দায়ের করার খবর পেয়ে দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে উক্ত প্রবাসীর স্ত্রী খেলন বেগম ও তার পরিবারকে নিয়ে মানহানিকর অশ্লীল লেখালেখির করান। পরে এ ব্যাপারে খেলন বেগম বাদী হয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম দত্তগ্রাম শেখ পাড়ায় সরজমিনে তদন্তে যান। অপরদিকে এলাকার শতাধিক মুরুব্বীয়ান লিখিতভাবে জানিয়েছেন, মপু মিয়ার পরিবার সামাজিক মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রবাসী পরিবারের কর্তা এবং খেলন বেগমের পিতা মপু মিয়া বলেন, দুর্বৃত্ত ও বখাটেরা তার মেয়ে ও পরিবারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র করে আসছে। সম্প্রতি তাদের কথাবার্তা না শুনায় তারা খেলন বেগমসহ আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং তার মেয়ে খেলন বেগমের জীবন বিপন্ন বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, তার মেয়ের কিছু হলে অভিযুক্তরা দায়ী থাকবেন।