বড় ধরণের দাঙ্গা থেকে রক্ষা পেল এলাকাবাসী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী)’র প্রচেষ্টায় অবশেষে বাহুবল উপজেলার অলুয়া ও ভেড়াখাল গ্রামের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে অলুয়া চৌমুহনীতে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) এমপি’র সভাপতিত্বে ও পুটিজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন তারা মিয়ার পরিচালায় অনুষ্ঠিত সভায় সালিশ বিচারক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাহুবল উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াকুত আলী, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরী, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ও পুটিজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী, বিশিষ্ট সালিশ বিচারক মাওলানা আব্দুল বারী আনসারী, সাতকাপন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আব্দাল মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক, বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইয়াকুত আলী, আব্দুল জব্বার মেম্বার, আজম উদ্দিন মেম্বার, সঞ্জব আলী, লাল মিয়া, আব্দুল মতিন প্রমুখ।
সভায় এলাকার শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখেত উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেয়া হয়। এ সময় উভয়পক্ষ আর কোনদিন দাঙ্গা হাঙ্গামায় জড়াবেন না বলে এমপি মিলাদ গাজী’র কাছে অঙ্গীকার করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫ মাস পূর্বে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাহুবল উপজেলার অলুয়া ও ভেড়াখাল গ্রামবাসীর মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ৪ ঘন্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক গুরুতর আহত হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বাড়িঘরে হামলার ফলে উভয়পক্ষের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে গেলে এলাকাবাসীর আক্রমণে বেশ কিছু সংখ্যক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে দুই গ্রামের লোকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বাহুবলের সালিশ বিচারকগণ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ একাধিকবার চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেননি। পরে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াদ মিলাদ গাজী এমপি বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিলে উভয়পক্ষ রাজি হয়। এরই প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা দুই গ্রামবাসীর বিরোধ নিষ্পত্তি করে দেন এমপি মিলাদ গাজী।