জেলা পরিষদের আশাবাদ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে স্থানীয় যানজট নিরসন হবে। এটি এমন পরিকল্পনামাফিক নির্মাণ করা হবে যাতে ব্যবসা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসে
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ অচিরেই বাহুবলে জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় নির্মিত হতে যাচ্ছে একটি অত্যাধুনিক বহুতল বিশিষ্ট সুপার মার্কেট। এটি নির্মিত হলে জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি, যানজট নিরসনসহ ওই এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এমন আশাবাদ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী জানান- বাহুবল থানা সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশে জেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় একটি বহুতল বিশিষ্ট সুপার মার্কেট নির্মাণ করা হবে। ৭১ শতক জায়গার উপর নির্মিতব্য এ মার্কেটটি হবে অত্যাধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও সময়োপযোগী। আধুনিক বহুতল বিশিষ্ট সুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা যানজট মুক্ত মনোরম পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। তিনি দাবি করেন, বর্তমানে ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া অনেকে রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে পথচারিসহ সাধারণ লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ৫ তলা ভিত্তি বিশিষ্ট ৩ তলা সুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে যানজট নিরসন হবে। এটি এমনভাবে পরিকল্পনা করে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে ব্যবসা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসে। কোন ব্যবসায়ীর ব্যবসা পরিচালনায় যাতে বিঘœ না ঘটে এবং তারা যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান- এরকম স্থাপনা বাহুবলে নেই। এটি বাহুবলকে সুন্দর করার একটি ছোট প্রচেষ্টা মাত্র। এটি বাহুবলের ব্যবসা ক্ষেত্রে যেমন অসামান্য অবদান রাখবে তেমনি জেলা পরিষদেরও রাজস্ব আয় বাড়বে।
ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী আরও জানান- সমগ্র জেলায় ‘গ্রাম হবে শহর’ এ নীতি অনুসরণ করে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, মসজিদ-মন্দির, স্কুলসহ সকল স্তরে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে জেলা পরিষদ। সকল উন্নয়ন কাজে তিনি সকলের সহযোগিতা কমনা করেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, কোন কাজে ৫ কোটি টাকার অধিক ব্যয় হলে কনসালটেন্ট নিয়োগ করতে হয়। বাহুবলে আধুনিক বহুতল বিশিষ্ট যে সুপার মার্কেটটি নির্মাণ করা হবে ধারণা করা হচ্ছে তাতে ২৫ কোটি টাকারও অধিক ব্যয় হতে পারে। বর্তমানে মার্কেটের কনসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলছে যাচাই বাছাই। প্রকল্পের ড্রইং, ডিজাইন, প্রাক্কলন ব্যয় সবকিছু যাচাই বাছাই করে তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে টেন্ডার আহবান করা হবে। আর সুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে জেলা পরিষদের রাজস্ব আয় বাড়বে।