স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ শামছুল হকে বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগটি সত্য নয় বলে গত ১৬ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারী কেউ অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানে না এবং তারা কেউই কোন অর্থ চেয়ারম্যান বা তার কার্যালয়ের কাউকে প্রদান করেনি। তাই আনীত অভিযোগটি সত্য বলে মনে হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি কুচক্রীমহল তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের দিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করতে আমার বিরুদ্ধে এই ধরণের মানহানিকর অভিযোগ করেছিল। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে আমি দীর্ঘ ৪২ বছর যাবত এলাকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। তাদের ভালবাসায় ৫ বার আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই আমার বিরুদ্ধে ৫শ করে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেছিল। আল্লাহর রহমতে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে সত্যের জয় হয়েছে।
শেখ শামছুল হক বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের কবলে পড়ে অনেক অসহায়, গরিব মানুষ সর্বশান্ত হয়েছেন। আমি তাদের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একটি সঠিক তদন্ত করলে তাদের অনেক অজানা কাহিনী বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ১৩নং মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শামছুল এর বিরুদ্ধে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সরকার কর্তৃক ঘোষিত প্রণোদনার টাকা বিতরণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ১৪ জন ভূক্তভোগী। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ জুলাই সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে ওই কাজে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছিল তা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com