স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। তাদেরকে আটকের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুখে মুখে রটে যায় ‘ছেলেধরা’ ৩ জনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে। অবশ্য এ ঘটনায় জনতার ঢিল নিক্ষেপে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার সন্ধ্যারাতে অলিপুর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেয় একদল ডাকাত। টহল পুলিশ তাদের সন্দেহ করে চ্যালেঞ্জ করলে তারা পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় জনতা ছেলেধরা সন্দেহে তাদের ধাওয়া দিয়ে আটক করে। আটকের পরপরই উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার নিক্ষিপ্ত ঢিলে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে যায়। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত ৩ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আটককৃতরা হলো- মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া কাশিপুর গ্রামের তোরাব আলীর পুত্র মোখলেছ মিয়া (৩২), একই এলাকার রতনপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র গিয়াস উদ্দিন (৩২) ও রবিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হাতিপুর গ্রামের শাহেদ মোল্লার পুত্র সিরাজুল ইসলাম (৩০)।
স্থানীয় লোকজন জানান, শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুর এলাকায় তিন ব্যক্তি একটি সিএনজি অটোরিকশাযোগে ঘোরাফেরা করছিল। এ সময় তাদের দেখে স্থানীয় জনগণের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। আর এতে করে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ তাদেরকে আটকিয়ে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, ওরা ছেলেধরা নয়, ডাকাত। ডাকাতির প্রস্ততিকালে তাদের আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গার কথা স্বীকার করেন পুলিশ সুপার।
গুজব রটেছে ছেলে ধরা সন্দেহে ৩ জনকে গণপিটুনি দেয়া হয়েছে
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com