নিজস্ব প্রতিনিধি  : হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরশহরের  পশ্চিম পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জাতীয় দৈনিক খবরপত্র ও দৈনিক হবিগঞ্জের জননী পত্রিকার  চুনারুঘাট প্রতিনিধি  সাংবাদিক মোজাম্মেল হক ও তার পিতা মোঃ তুরাব আলীকে পুর্ব বিরোধের জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত নগ্ন হামলার ঘটনায় একই এলাকার  মৃত  আঃ করিমের ছেলে সুজন মিয়া(২৪) কে আটক করে আদালত। জানা যায়, সুজন দীর্ঘদিন  পলাতক থাকার পর আজ  মঙ্গলবার   (১৪ জুলাই) বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এর আদালতে আসামী আঃ করিম, সুজন মিয়া ও রইছুন্নেছা স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে সুজনকে আটক করে জেল কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামী আঃ করিম ও রইছুন্নেছার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন   মোঃ শফিউল আলম আজাদ ও জাহাঙ্গীর আলম এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পিপি আকবর হোসেন জিতু ও আবু সাঈদ। উল্লেখ্য যে, জমিতে কাজ করতে গিয়ে গত ২৯ এপ্রিল বুধবার বিকাল অনুমান সাড়ে ৫ টায় আসামীদের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় মোজাম্মেলের পিতার।একপর্যায়ে আব্দুল করিমের নেতৃত্বে সুলাইমান, দুলন মিয়া, সুজন ,মিজান মিয়া, রইছুন্নেছাসহ  একদল দূর্বৃত্ত হত্যার উদ্দেশ্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোজাম্মেল ও তার পিতাকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় তাদের শোর চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মোজাম্মেল ও তার পিতার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।