বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও জামাত-বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করেই ইউনিয়নের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ যাচাই বাছাই না করেই বিএনপি-জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের পদ-পদবী দিয়ে কমিটি গঠন করে দিচ্ছেন। এর প্রতিকার চেয়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আলমগীর মিয়া। তিনি গত মঙ্গলবার দুপুরে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বাধীনতার মাস ও মুজিববর্ষকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি ঘোষণা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ এ নির্দেশ উপেক্ষা করেই তড়িগড়ি করে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিটি ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন।
খবর নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাদেরকে সভাপতি ও সম্পাদক পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে তাদের অধিকাংশই বিএনপি-জামাতের নেতা হিসেবে পরিচিত। অথচ কমিটির ঘোষণাকারীরা ভালোভাবে যাচাই বাছাই না করেই তড়িগড়ি করে কমিটি ঘোষণা দেয়ায় এসব কমিটির বিরুদ্ধে পাহাড়সম অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
অভিযোগে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার ১২নং সুজাতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে মনোনীত করা হয়েছে মোঃ শাহ আলম জুনুকে। আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে মোঃ মুহিন মিয়াকে। যারা এককালে জামাত ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এবং তার পরিবারের প্রায় সকলেই ওই দলের সাথে সরাসরি জড়িত। গত দুই সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যেতে না পারে তারা তখন বাঁধা বিঘেœর সৃষ্টি করেছিল। এর পুর্বে ৯নং ওয়ার্ড কমিটির বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা মোঃ তফছির চৌধুরী। অভিযোগের অনুলিপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন খান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন অবস্থাতেই অনুপ্রবেশকারীদেরকে দলের পদ-পদবীতে রাখা যাবে না। কেউ যদি এমনটা করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ সুজাতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শাহ আলম চৌধুরী জুনুকে সভাপতি ও মুহিন মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা কর হয়।