এসএম সুরুজ আলী ॥ নিখোঁজের ১দিন পর হবিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের পুকুর থেকে শাহিনুর রহমান (২৪) নামে এক কনস্টেবলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। কনস্টেবল শাহিনুর রহমান ময়মনসিংহ জেলা সদরের কামরুজ্জামানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহিনুরকে সোমবার সকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে তার সহপাঠীরা পুকুর ঘাটে লুঙ্গি, বিছানার চাঁদর, কম্বল এবং জুতা দেখতে পান। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়। মঙ্গলবার সকালে জাল দিয়ে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে ডোম না থাকায় বিকেলে মৃত ডোম ছাবু মিয়ার পুত্র জিতু মিয়া মিজান নামে তার এক সহযোগিকে নিয়ে ডাক্তারের উপস্থিতিতে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যাসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ দেবাশীষ দাশ জানান, শরীরে কোন আঘাতের আলামত পাওয়া যায়নি। পানিতে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুক আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শাহিনুর গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ওসি আরও জানান, শাহিনুরের সহপাঠীরা জানিয়েছে সে সাঁতার জানতো না। সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, নিহত কনস্টেবল শাহিনুর রহমানের লাশের ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ লাইনে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।