জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১০ ডিসেম্বর
এসএম সুরুজ আলী ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি হাহাকার পার্টি, চাটুকার ও সন্ত্রাসীদের দল। তারা পাকিস্তানপন্থী। বুয়েটে আবরার হত্যার পর দেড় মাসের মাথায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এটি হলো শেখ হাসিনার সুশাসনের নমুনা। অপরদিকে বিএনপির সময়ে সনি হত্যাকান্ডের অভিযোগপত্র ও বিচার হয়নি। এটি হল বিএনপির দুঃশাসনের নমুনা। বিএনপি এখন চিঠি দেয় ভারতের সাথে সরকার কি কি চুক্তি করেছে তা জানার জন্য। এই চুক্তির বিষয়ে আমরা বিএনপিকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করি না। আমরা জানাব জনগণকে। প্রধানমন্ত্রী সকল চুক্তি ও বিদেশ সফর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংএ করে সব জনগণকে বলেন। ভারতের সাথে যে সকল চুক্তি হয়েছে তার সবকয়টি করেছেন শেখ হাসিনা। আর কয়েকটি চুক্তি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ভারত সফর করে দেশে ফিরেছিলেন তখন সাংবাদিকরা গঙ্গা চুক্তির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন বিষয়টি তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না। এখনও আওয়ামী লীগের দোষ বের করার চেষ্টা করে। তিনি সোমবার হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি’র পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন গাজী মোঃ শাহনওয়াজ এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, আরব আলী, শেখ সামছুল হক, শরীফ উল্ল্যা, অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ও মুকুল আচার্য্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, মর্তুজা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম ও মর্তুজ আলী। সভায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ১০টি উপজেলা এবং ৭৮টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আহমদ হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। আমাদেরকে আর যাতে রাজপথে যেতে না হয় তার জন্য মিলেমিলে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসলে আমাদের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে হত্যা করবে। তবে খালেদা জিয়া আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না ইনশাল্লাহ। এই দেশের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তিনি সরকারের শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে বলেন, অনেকেই বলেন রুম বাছলে কম্বল খালি হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের কম্বলের রুম ঠিকই থাকবে। কারণ আমরা কম্বলের ময়লা ওয়াশ করছি। আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদের স্থান নেই।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সম্মেলনের তারিখ ৬ ডিসেম্বর পরিবর্তন করে ১০ তারিখ পুননির্ধারণ করেন। জেলার সম্মেলনের পর সকল উপজেলা ও ইউনিয়নের কমিটি পুনর্গঠন হবে বলে জানান। তিনি বলেন, সারা দেশের সকল জেলার মাঝে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের জন্য মডেল হবিগঞ্জ জেলা। এখানে সংগঠন চলে গণতান্ত্রিকভাবে। এখানকার নেতারা দল বান্ধব, সাংগঠনিক, সাহসী এবং নেতাকর্মীদেরকে ভালবাসেন।
বর্ধিত সভার শুরুতে দলের মরহুম নেতৃবৃন্দের স্মরণে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন এবং মোনাজাত করা হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে এমপি আবু জাহির বলেন, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে ঐতিহ্য রয়েছে। অতীতে সকল কমিটি কাউন্সিলরদের ভোটে হয়েছে। এবার তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আমি মনে করছি। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার সকল ইউনিটের কমিটি গঠন করা হবে।