স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার কালনী গ্রামে কাজী দিপু মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের পুরুষশূন্য বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার ও শনিবার সকালে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কালনী গ্রামের আলাই মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া ও তার ভাই রুয়েল মিয়া এবং আষেঢ়া গ্রামের নিধান আলীর ছেলে আরব আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যা মামলার আসামীদের বাড়ি থেকে লুট হওয়া গরুর খাবার খড়সহ মালামাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাজী দিপু মিয়া নিহত হওয়ার পর থেকেই হত্যা মামলার আসামীপক্ষের বাড়িঘর লুটপাট করা হচ্ছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমান সাস্তুর স্ত্রী মাজেদা আক্তার বাদী হয়ে ৭৮ জনকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লুটপাট মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার রাতে মামলার আসামী রুয়েল ও আরব আলী হত্যা মামলার আসামীর বাড়ি থেকে গরুর খাবার খড়সহ মালামাল চুরি করে একটি পিকআপ গাড়ী দিয়ে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়ক দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে লুকড়া এলাকায় তাদের আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাদেরকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার এসআই প্রদীপ রায়ের কাছে সোপর্দ করা হয়। সকালে গ্রেফতারকৃত রুয়েল মিয়ার ভাই জুয়েল মিয়াকে পুলিশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি কালনী গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে কাজী দিপু মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৬৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার আসামীদের বাড়ি থেকে টিনসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছিলেন নিহতের স্বজনরা। সম্প্রতি পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ভাংচুরকৃত বাড়িঘর দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।