‘আমরা কারও উপর আক্রমণ করতে চাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অফিস, দোকানপাট ও সরকারি স্থাপনায় ফের যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিরোধ করবে।’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, সংসদ সদস্যের বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাংচুরকারী বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জেলা শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এর আগে শিরিষতলায় প্রতিবাদ সমাবেশ হয় এবং সেখান থেকে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিল দুটি সড়ক দিয়ে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকে বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের চিহ্নিত ক্যাডাররা হবিগঞ্জে যে হত্যা এবং তা-ব ঘটিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। কোটাবিরোধী আন্দোলনের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেনে নিয়েছেন। এখন সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের আন্দোলন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নয়; একাত্তরের রাজাকার ও জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী পরিবার ঐক্যবদ্ধ। যুবদল-ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতারা মুখে কাপড় বেঁধে হবিগঞ্জে তা-ব চালিয়েছে। সচেতন নাগরিককে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারও উপর আক্রমণ করতে চাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অফিস, দোকানপাট ও সরকারি স্থাপনায় ফের যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিরোধ করবে।’
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলীয় জনপ্রতিনিধিসহ দুই সহস্রাধিক দলীয় নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শেখ সামছুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর সৈকত, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমন, জেলা কৃষক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবীর রেজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ফয়জুল বশির চৌধুরী সুজন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ডাঃ সাইফ ই রহমান তন্ময় প্রমুখ।
সভায় জানানো হয়- গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মিছিলে ঢুকে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির বাসভবনে হামলা চালায়। তারা সরকারি অফিস ও কর্মকর্তাগণের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের যানবাহনে আগুন দিয়েছে। একই ঘটনায় সিনেমা হল রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয় আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।