সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ৫নং করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জিলু মিয়ার বিরুদ্ধে উৎকোচ দাবী ও এক নারীকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান ও করাব ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুসকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান- করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জিলু মিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার নামে জনৈক নারী লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর অভিযোগকারীর মেয়ে মোছাঃ লাভলী আক্তারের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জিলু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজটি স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে বুঝে রাখেন। আবেদন জমা দেয়ার ৩/৪ দিন পর যোগাযোগ করা হলে সচিব মোঃ জিলু মিয়া তাকে ২/৩ দিন পর আসতে বলেন। এভাবে তিনি ওই নারীকে কয়েকদিন ঘুরাতে থাকেন এবং বলেন জন্ম নিবন্ধন ব্যক্তির নিকাহনামা লাগবে। এমতাবস্থায় অভিযোগকারী ইয়াসমিন আক্তার নিকাহনামা নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি সচিব মোঃ জিলু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ইয়াসমিন আক্তারের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ইয়াসমিন আক্তার সচিব জিলু মিয়াকে বুঝার জন্য সময় চাইলে তিনি ইয়াসমিন আক্তারের উপর রেগে উচ্চ স্বরে ধমক দিয়ে তাকে অফিস থেকে বের করে দেন।
এ ব্যাপারে করাব ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ জিলু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- কে বা কারা অভিযোগ দিয়েছে এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র পাইনি। অভিযোগের কাগজপত্র পাওয়ার আলোকে আমি যদি অন্যায়কারী হই তাহলে শাস্তি পাব।