অসুস্থতার কারণে কাউন্সিলর পিয়ারা প্রার্থী হচ্ছেন না
এসএম সুরুজ আলী \ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার আর নির্বাচন করছেন না হবিগঞ্জ পৌরসভার সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) বার বার নির্বাচিত কাউন্সিলর মোছাঃ পিয়ারা বেগম। তবে ওই ওয়ার্ড থেকে এবার নির্বাচন করবেন পিয়ারা বেগমের একমাত্র কন্যা মিসেস রুনা আক্তার। তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এলাকায় পোস্টার, ফেস্টুনসহ ব্যানার লাগিয়েছেন। পাশাপাশি গণসংযোগ করছেন। কয়েকদিনের মধ্যে তিনি তার নিজ এলাকা আনোয়ারপুর গ্রামে পরামর্শ সভা করবেন। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর প্রার্থী মিসেস রুনা আক্তার জানান, আমার মা পিয়ারা বেগম ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে ৩ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনি প্রতিবারই প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২ বছর হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব সত্যতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। বর্তমানে পিয়ারা বেগম হবিগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২। ৬০ উর্ধ্ব বয়স্ক কাউন্সিলর পিয়ারা বেগম ৫/৬ মাস পূর্বে স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে তিনি অসুস্থতায় ভুগছেন। স¤প্রতিকালে তার শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি ভালো ভাবে কারো সাথে কথা বলতে পারছেন না। কথা বললে মুখে লেগে যায়। বাসায় থেকে তিনি এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন। রুনা আক্তার তার মায়ের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, তার মা অসুস্থ থাকার কারণে এবার আর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। তবে মা’র নির্দেশে তিনি নির্বাচন করবেন। ইতিমধ্যে পারিবারিকভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই আমি পোস্টার করেছি, নির্বাচনী এলাকার বাসা-বাড়িতে গিয়ে গণসংযোগ করে ভোটারদের সহযোগিতা, ভোট ও সমর্থন কামনা করছি। ভোটাররাও আমাকে নির্বাচন করার জন্য আগ্রহী করছেন। তিনি বলেন- আমার মা দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। মায়ের মত আমিও এলাকার মানুষের সেবা করতে চাই। আশা করি আমার মাকে যেভাবে এলাকাবাসী মূল্যায়ন করেছেন তেমনি আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
ব্যক্তিগত জীবনে রুনা আক্তার একজন গৃহিনী এবং ১ পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামী ঢাকার একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। এদিকে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে রুনা আক্তারসহ আরো কয়েকজন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।