হবিগঞ্জের হিন্দু নেতৃবৃন্দের ঘটনাস্থল পরিদর্শন
বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের দ্বিগাম্বর বাজারের পাশে বহুল আলোচিত সেই শ্মশান কালী মন্দিরের জায়গা অবৈধ দখলদার মুক্ত হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শ্মশান কালী মন্দিরের জায়গা দখল ও মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করার অভিযোগে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে পুটিজুরী দ্বিগাম্বর বাজারে শ্মশান কালী মন্দিরের জায়গা ফের দখল করার চেষ্টা করে মন্দিরের ভিতর রক্ষিত কালী মূর্তি ভাংচুর, মন্দিরের সভাপতির উপর হামলা ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদের দেয়া সীমানা প্রাচীরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের নামফলক ভেঙ্গে ফেলে একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ওই শ্মশান কালী মন্দিরের জায়গাটি দীর্ঘদিন অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকার পর প্রায় ২ বছর পূর্বে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করে দেন। এখানে বর্তমানে একটি অস্থায়ী শ্মশান কালী মন্দির রয়েছে এবং মন্দিরের অবশিষ্ট জায়গায় একটি মার্কেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন বিকাল ৪টার দিকে মন্দিরের সভাপতি স্থানীয় হাজী মাদাম গ্রামের করুনাময় দেব (৬৪) এর উপর হামলা করে মন্দিরের ভিতরে থাকা কালী মূর্তি ভাংচুর ও সাবেক জেলা প্রশাসকের নাম ফলক ভাংচুর করে দেয় স্থানীয় একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। ঘটনা শুনে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এমপি শাহনওয়াজ মিলাদ গাজী। ঘটনার পর ওইদিন রাতেই মন্দিরের সভাপতি হাজী মাদাম গ্রামের মৃত ক্ষেতকি রঞ্জন দেব এর পুত্র করুনাময় দেব বাদী হয়ে হাজী মাদাম গ্রামের মৃত লেদু মিয়ার পূত্র মুহিত মিয়া (৫৫), ফরিদ মিয়া (৫৮), ওয়াহিদ মিয়া (৩৫) সহ ৮ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের মফিজ মিয়াকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকাল ৩টার দিকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি জগদিশ চন্দ্র মোদক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট স্বরাজ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব রায় সুজন, তাঁতী লীগের জেলা সভাপতি ও পুটিজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুদ্দত আলী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সভাপতি নিহার রঞ্জন দেব, পুটিজুরী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের সভাপতি করুনা রঞ্জন পাল, বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন পরিষদের পুটিজুরী ইউনিয়ন সভাপতি স্বপন পাল, সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত পাল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদ এর উপজেলা সভাপতি জিতেন্দ্র দেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান।