নোয়াপাড়া ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সৈয়দ মোঃ জাবেদ উন্নয়ন ও জনসেবায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত নোয়াপাড়া ইউনিয়নবাসীর মুখে হাসি ধরে রাখতে কাজ করে যেতে চান। সকল ধর্মের মানুষ যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। তিনি বলেন ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর ইউপি নির্বাচনে দল মত নির্বিশেষে আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নবাসী। নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখতে পাই বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক সমস্যা। এ সব সমস্যা সমাধানে আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়েছি। বাকি জীবনটা যেন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি, সেজন্যে ইউনিয়নবাসী সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চাই।
চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জাবেদ ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, ২ ছেলে, ১ কন্যার জনক। ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করছে। চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জাবেদ নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বেঙ্গাডোবা গ্রামের সাহেববাড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারের তৎকালিন আইন পরিষদের এমপি ও পালার্মেন্টারী সেক্রেটারী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মরহুম সৈয়দ সঈদ উদ্দিন এর ছোট ছেলে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, প্রত্যেক ওয়ার্ড ও চা বাগানে উন্নত ইটসলিং রাস্তা, পাকা রাস্তা, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন, গভীর নলকূপ, ব্রীজ, কালভার্ট, স্ট্রিট লাইট সহ অনেক সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন চেয়ারম্যান জাবেদ। মনে হয় এটি পৌরসভা। এদিকে নোয়াপাড়া এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এলাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার বেকার নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মোঃ জালাল শাহ বলেন, চেয়ারম্যান জাবেদ নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার লোকজন খুব শান্তিতে বসবাস করছেন। তার কঠোর ভূমিকায় মাদক, জুয়া, চুরি, ডাকাতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ বিভিন্ন অপরাধ এখন নেই বললেই চলে। এলাকায় যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সামাজিক ন্যায় বিচারক হিসেবে কাজ করেন তিনি। চেয়ারম্যান জাবেদ দীর্ঘ বছর ধরে নোয়াপাড়া বাজারে সততার সাথে ব্যবসার পাশাপাশি জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি বছর এলাকায় শত শত হতদরিদ্র লোকজনকে সাহায্য করে যাচ্ছেন। প্রত্যেক বছর শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ও ঈদ সামগ্রী দিচ্ছেন। নোয়াপাড়া চা বাগানে চা শ্রমিক হরি সাওতাল বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের সময় এলাকায় শত শত লোক কর্মহীন থাকায় দুর্ভোগ দেখা দেয়। চেয়ারম্যান জাবেদ তার পরিবারের সকলকে নিয়ে তাদের নিজ তহবিল হতে হাজার হাজার চা শ্রমিককে ও হতদরিদ্রদেরকে সাহায্য করেছেন। এমনকি ঈদ সামগ্রী পর্যন্ত দিয়েছেন। এলাকার অসহায় নারীদের বিয়ে দিতে সমস্যা বা স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপাড়া করাতে সমস্যা দেখা দিলে চেয়ারম্যান জাবেদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন। চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ এর বড় ভাই মরহুম সৈয়দ মোঃ আবু নাছির আলমগীর ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং ৬ বার বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সিলেট বিভাগে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। তার ভাই নোয়াপাড়া ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন করে গেলেও চেয়ারম্যান আলমগীরকে নোয়াপাড়াবাসী আজও ভুলে যায়নি এবং তার কর্ম বেঁচে আছে মানুষের মনের মনিকোঠায়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com