আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তিযুদ্ধের চার নম্বর সেক্টরের কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল চিত্তরঞ্জন দত্তের (সি আর দত্ত) মরদেহ শুক্রবার দেশে আসতে পারে। পরিবার ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে সবকিছু নির্ভর করবে ফ্লাইট পাওয়াসহ অন্যান্য কাজ শেষ করার ওপরে।
প্রয়াত বীর উত্তম সি আর দত্তের বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মরদেহ ফ্লোরিডার বয়েন্টবিচে একটি ফিউনারেল হোমে রাখা হয়েছে। যতটা দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে। তিনি বলেন ‘বাবার কফিন নিয়ে আমরা চার ভাই-বোনই ঢাকায় যাব। সেজন্যে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলছে।’
ফ্লোরিডার বয়েন্টনবিচের বেথেসডা সাউথ হাসপাতালের হসপিস কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত সাড়ে ১১টা এবং বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মারা যান সি আর দত্ত।
বীর উত্তম খেতাবধারী সি আর দত্ত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। মৃত্যুকালে এই মুক্তিযোদ্ধার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
সিআর দত্তের বড় মেয়ে মহুয়া দত্ত এবং ছেলে ডা. চিরঞ্জিব দত্ত রাজা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ছোট মেয়ে কবিতা দাসগুপ্ত হ্যাপি থাকেন ফ্লোরিডায়। আর মেজো মেয়ে চয়নিকা দত্ত কানাডায় থাকেন।
গত কয়েক বছর ধরে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিউইয়র্কেই থাকছিলেন সি আর দত্ত। গত বছরের শেষ দিকে তিনি ফ্লোরিডায় ছোট মেয়ে কবিতার বাসায় যান। তবে করোনা মহামারী শুরু হয়ে গেলে আর নিউ ইয়র্কে ফেরা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সি আর দত্তকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য করতে চান তারা। সেজন্য চার ভাইবোনই দেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, সি আর দত্তের মরদেহ বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্যে পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এজন্যে ডেথ সার্টিফিকেট, ছেলে মেয়েদের নো ভিসা রিকওয়ার্ড স্ট্যাম্প এবং করোনাভাইরাস না থাকলে সেই সনদও দূতাবাসের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার মরদেহ দেশে নেয়া হতে পারে।’