নিতেশ দেব, লাখাই প্রতিনিধি :- বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে অনেকেই হয়ে পড়েছে কর্মহীন। বন্ধ হয়ে পড়েছে রুজিরোজগার। কি ভাবে চলবে তাঁদের পরিবার সংসার এ নিয়ে চিন্তার ভাজ পরেছে। এমনি এক জন চা বিক্রেতা নিপেন্দ্র। ভালই চলছিল তার চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটি। তিনি থাকতেন ঢাকায়। করতেন চা বিক্রি। যা ইনকাম হত তা দিয়ে নিজে ও পরিবার চলত। হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস এসে সব কিছু যেন শেষ করে দিল তার। কর্মহীন হয়ে পরেন তিনি। অনেক চিন্তা ও কষ্টে দিন যায়। ঢাকা শহর ছেড়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামে। এসে শুরু করেন স্থানীয় বুল্লা বাজারে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি।কথা হয় নিপেন্দ্রর সাথে। তিনি জানান, আমি থাকতাম ঢাকায়। করতাম চা বিক্রি। যা রোজি হত তা দিয়ে নিজে ও পরিবার চলত। এখন করোনা ভাইরাস আসার কারনে ঢাকায় তেমন একটা রোজি রোজগার হয় না। বাসা ভাড়া ও নিজে চলা অসম্ভব হয়ে পরে। তাই চলে আসলাম গ্রামে। এসে কোন রোজি রোজগার পথ না পেয়ে এখন বাজারে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি করি। প্রতি দিন ৮০ থেকে ৯০ কাপ চা বিক্রি করে একশ থেকে দেড়শ টাকা যা-ই পাই তা দিয়ে কোন রকম সংসার ও পরিবার চলে। ওই বাজারের আরেক ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রেতা নান্টু সাথে আলাপ কালে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন বাজারের একটি মিষ্টির দোকানে তিনি শ্রমিক ছিলেন।করোনাকালে দোকান মালিকের পুষিয়ে উঠার মত বেচা বিক্রি না হওয়ায় তিনি এখান থেকে সরে আসছেন। পরে কোন উপায় না পেয়ে পেট চালানোর তাগিদে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি করে আসছেন তিনি। নিপেন্দ্র ও নান্টুর মত আরো অনেকেই এ উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজারে করোনা কালে ভ্রাম্যমাণ চা বিক্রি করে খুবই কষ্ট করে দিন যাপন করছেন। খেটে খাওয়া এই মানুষেরা ক্রান্তিকালে কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছেন। এখনো ঠিকমতো আয় করতে পারছেন না, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে নিয়েও রয়েছে তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা। তবু প্রত্যেকেই মনে করেন। এই অসময় কেটে যাবে। তাঁরাও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন। আয়ও বাড়বে।
অল্পে তুষ্ট এই মানুষদের কথায় তাই দুঃসময়ের দুঃখগাথার সঙ্গে ফুটে ওঠবে সুদিনের প্রত্যাশা।
অল্পে তুষ্ট এই মানুষদের কথায় তাই দুঃসময়ের দুঃখগাথার সঙ্গে ফুটে ওঠবে সুদিনের প্রত্যাশা।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com