স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনামুল হক মামুন ৪ সপ্তাহের জামিন লাভ করেছেন। ১ জুলাই তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আগাম জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিজ্ঞ বিচারক তাকে ৪ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুনের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন উর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
লাখাই থানার ওসি মোঃ এমরান হোসেন জানান, সহকারী কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন হাইকোর্ট থেকে ৪ সপ্তাহের জামিন লাভ করেছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বামৈ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন জানান, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাইলো (প্লাস্টিকের ড্রাম) বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষদেরকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী দরিদ্র ৪৬০ জন লোকের তালিকা দিয়ে তিনি পবিত্র ওমরাহ হজ্বে চলে যান। হজ্ব থেকে এসে দেখেন তার তালিকা বাদ দিয়ে কতিপয় মেম্বারের কথামতো সাইফুল ইসলাম ১ হাজার ৪০ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ২শ’ টাকা করে নিয়ে এসব ড্রাম বিতরণ করেন। গরীব দুঃখী মানুষের হক মেরে খাওয়ার কারণে আমি একটু রাগান্বিত হই এবং সাইফুল ইসলামের সাথে বাকবিতন্ডা হয়, ধাকাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তাকে মারধোর কিংবা তার উপর হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, মামলার বাদীর সাথে শুধু আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে। অথচ অজ্ঞাত আরো ৫ জনের নাম রেখে পুলিশ আমার নিজ গ্রাম ভাদিকারা গ্রামের লোকজনদের হয়রানী করছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সাইলো (প্লাস্টিকের ড্রাম) স্থানীয় গরীবদেরকে অনুদান দেয়ার জন্য আসে। ৪নং বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মামুন তার লোকদেরকে দেয়ার জন্য কৃষি অফিসার সাইফুলকে বলেন। কিন্তু সাইফুল ইসলাম চেয়ারম্যানের পছন্দের লোকদেরকে না দেয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে মুড়াকড়ি গ্রাম থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে ফেরার পথে উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনের রাস্তায় চেয়ারম্যান মামুন ও তার লোকজন কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা করেন। এক পর্যায়ে তাকে আহত করেন। স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে লাখাই থানার ওসি সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরবর্তীতে চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের জন্য তার নিজ বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় লাখাই থানা পুলিশ।