কারাবন্দী আসামী হাজির না হওয়ায় আবারো পিছিয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ

এসএম সুরুজ আলী ॥ আসামী হাজির না হওয়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আবারও পিছিয়েছে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। বুধবার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ধার্য্য থাকলেও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুর রহমান বাবরসহ ৩ আসামী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে দেন সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম। গতকাল মামলায় জামিনে থাকা আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ৭ জন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এছাড়া কারাগারে থাকা আসামী নাজিউর রহমান, সৈয়দ নাঈম, মিজানুর রহমান মিজান, বদরুল আলম, আব্দুস সালামকে টাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি কিশোর কুমার কর জানান, গতকাল মামলার নির্ধারিত তারিখে নিরাপত্তার অভাবে কারাগারে থাকা বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান বাবর, মুহিব উল্লাহ ওরফে মুফিজুল ও মুফতি নাঈমকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এ কারণে মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ২০ সেপ্টম্বর ধার্য্য করা হয়েছে। মামলার সাক্ষীরা যাতে নির্ধারিত তারিখগুলোতে এসে সাক্ষী দেন এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারী করা হয়েছে।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন মরহুম কিবরিয়া। এ ঘটনায় তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমপি আব্দুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
তিন দফা তদন্তের পর সিআইডির সিলেট অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেরুন নেছা পারুল ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর আরিফুল, জি কে গউছ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১১ জনের নাম যোগ করে মোট ৩২ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন।
হবিগঞ্জের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৬ সালের ১১ জুন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেন। ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়।
আলোচিত এই মামলার ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।