মোঃ আলাল মিয়া, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার পৃথক দু’টি স্থানে হারপিক ও কীটনাশক পান করে শিশু ও যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের কৃষক নূর হোসেনের শিশু পুত্র মোজাম্মিল হোসেন (১১) পরিবারের সকলের অগোচরে রবিবার সকালে নিজ ঘরের বাথরুমে রক্ষিত হারপিক পান করে। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন তার অবস্থা আঁচ করতে পেরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে শিশু মোজাম্মিল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন দাবি করছেন শিশুটি মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল।
অপরদিকে একই উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের রিফাতপুর গ্রামের কৃষক আখল মিয়ার পুত্র সামসুদ্দিন (১৯) গত শনিবার রাতে পরিবারের লোকজনের সাথে অভিমান করে ঘরে রক্ষিত কীটনাশক পান করে ছটফট করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে সামসুদ্দিনের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ৮টায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উল্লেখিত শিশু ও যুবকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন এবং থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানান।