স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনু মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক ৩নং তেঘরিয়া ইউনিয়নের স্থানীয়রা বলেন চেয়ারম্যান আনু মিয়া গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। আর এই দরিদ্র মানুষগুলো টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যান আনু মিয়া অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে নানা ভয়ভীতি দেখান। ভূক্তভোগীরা জানান সরকারি বরাদ্দে কার্ড দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছে থেকে হাজার হাজার টাকা নেওয়া হয় কিন্তু মাসের পার হয়ে গেলেও তাদের সরকারি কোনো কিছুই দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে ইউনিয়নের প্রায় সকল মেম্বারগণই ক্ষুব্ধ। ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার জানান- বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ না করেই ভুয়া কাগজ দেখিয়ে টাকা আত্মসাত করেন চেয়ারম্যান আনু মিয়া। তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলাও রয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ মনে করেন যে, তাকে গ্রেফতার করলেই অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশ জানায় চেয়ারম্যান আনু মিয়া পলাতক রয়েছেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তেঘরিয়া ইউনিয়নের রামপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সাদেক মিয়ার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালান ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়াসহ প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় তাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ভাংচুর করা হয় তার মোটর সাইকেল। এসময় সাদেক মিয়ার শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর সাদেক মিয়ার ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকেই চেয়ারম্যান আনু মিয়া পলাতক রয়েছেন।