
আউয়াল মহলসহ ৪ গ্রামবাসী অবরুদ্ধ ॥ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচংয়ের কাটখাল সড়কে টমটম শ্রমিকদের হামলায় সিএনজি অটোরিক্সা চালকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ থেকে আউয়াল মহল পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে জনগণের চলাচলের সুবিধার্তে দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি অটোরিক্সা পরিবহন চলাচল করছে। কয়েক বছর ধরে এ রোডটি দিয়ে কাটখাল গ্রামের কিছু যুবক টমটম পরিবহন চালু করে। টমটম চলাচল শুরু হওয়ার পর থেকে ওই পরিবহনের শ্রমিকরা সিএনজিতে যাত্রী তুলতে বাঁধা সৃষ্টি করে আসছে। এ নিয়ে কাটখালের টমটম চালকদের সাথে আউয়াল মহলসহ আশপাশের ৪টি গ্রামের সিএনজি চালকদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি তাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। গত ৩ দিন ধরে টমটম শ্রমিকরা অবরোধ করে সিএনজি চলাচল বন্ধ করে রাখে। এতে ৪টি গ্রামের লোকজন চলাচল করতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আউয়াল মহল মাদানীগঞ্জ বাজার থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে কাটখাল আসলে সিএনজিটির গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চালকসহ যাত্রীদের উপর হামলা করে টমটম শ্রমিকরা। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। রাত ১০ টার গুরুতর আহত অবস্থায় সিএনজি অটোরিক্সা চালক আউয়াল মহল গ্রামের মাহফুজুর রহমান রায়হান ও যাত্রী আমিরপুর গ্রামের আউয়াল মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আউয়াল মিয়া জানান, ৩ দিন ধরে টমটম শ্রমিকরা আমাদের ৪টি গ্রামের লোকজনদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তারা কোন দিক দিয়েই আমাদের বের হতে দিচ্ছেন না। সবদিকে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। আমাদের এলাকার লোকজন অন্য কোন পরিবহন দিয়ে যেতে চাইলে তারা তাদেরকে মারপিট করছেন। গ্রামের মেহমানদের শরীরেও হাত তুলেছেন তারা। গতকাল সন্ধ্যার দিকে বিয়েতে যাওয়ার জন্য আমি সিএনজি নিয়ে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলাম। সিএনজিটি কাটখাল পৌঁছামাত্র টমটম শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার সিএনজিটি আটক করে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমিসহ ৫ জন আহত হয়েছি। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।