ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জ এর সভাপতি আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী বলেছেন, পবিত্র কুরআনের অবমাননা করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল যে ন্যাক্কারজনক ও ঘৃণিত অপরাধ করেছে তা শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত নয়, বরং এটি দেশব্যাপী শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অন্তবর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। এর আগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিসের উদাহরণ দেয়ার কারণে এক শিক্ষকের বহিষ্কার দেখেছে গোটা দেশ। এগুলো বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয় বরং সুপরিকল্পিত ইসলাম বিদ্বেষের উদাহরণ।
আল্লামা ওলীপুরী বলেন, অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার জঘন্য দৃশ্য দেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে কুরআন অবমাননার ভিডিও চিত্র প্রচার করে আরো বড় অপরাধ করেছে। এতে বুঝা যায়, এ কাজ সে সজ্ঞানে করেছে। আমরা অপূর্ব পাল ও তার মদদ দাতাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি করছি। গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ হবিগঞ্জ এর উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আল্লামা নূরুল ইসলাম ওলিপুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ সাদী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা লোকমান সাদীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুফতি সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম হরষপুরী, মাওলানা সাইদুর রহমান, মাওলানা নোমান আহমদ, মাওলানা হোসাইন আহমদ খান তোঁহা, মুফতি শফিকুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্যকস হবিগঞ্জের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল হুদা, আলহাজ্ব মুহিব উদ্দিন আহমদ সোহেল, মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী, কারী আঃ হালিম, মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মাওলানা মুইনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ। মানববন্ধনে সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু সালেহ সাদী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট কতিপয় দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- মহাগ্রন্থ কুরআনুল কারীম এর অবমাননাকারী গ্রেফতারকৃত অপূর্ব পাল এর দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। অপূর্ব পাল একা নয়, তাদের এসব কর্মকা-ের মূল হোতা এবং চক্রকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অপূর্ব পালকে কোনো অবস্থাতেই জামিন দেওয়া যাবে না। আল্লাহ ও তার প্রিয় রাসূল (সা.), কোরআন তথা ইসলাম ধর্মের অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শান্তির আইন প্রণয়ন করতে হবে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষককে ক্লাসে হাদীসের উদাহরণ উল্লেখ করায় বহিস্কার করা হয়েছিল, ওই শিক্ষককে অনতিবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে। হবিগঞ্জ সহ সারা দেশে সকল প্রকার অনৈসলামিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের ব্যাপারে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তি