
শাহরিয়ার আহমেদ শাওন ॥ নবীগঞ্জ শহরের রদ্রগ্রাম রোডের একটি বাসায় চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ৫ পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাছাড়া হামলার ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় গুরুতর আহত কনস্টেবল ইমরানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টবর) রাত ১১ টার দিকে শহরের ফুলকলির পেছনে শিবপাশা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নবীগঞ্জ পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হিরন মিয়ার ছেলে রুমন মিয়া একটি চোরাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আসে। ওই সূত্র ধরে নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রুমনের বাসায় চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় রুমন মোবাইল ফোনটি নিজের দাবি করে পুলিশের সাথে বাগবিত-ায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রুমনের ভাই মামুনসহ কয়েকজন নারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান (৩০), মাইনুল ইসলাম (৩২), এএসআই মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুমনের ভাই মামুনসহ ৪ জনকে আটক করে। পুলিশের ওপর হামলার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানায় ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, চোরাই মোবাইল উদ্ধারে গেলে চোরচক্র পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান সরকার বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত ৪০-৪৫ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- নবীগঞ্জ পৌরসভার নোয়াপাড়া গ্রামের মামুন মিয়া (২৮), তার মা শাহেনা আক্তার (৫৪), বোন মেঘলা আক্তার (১৯), সুহিলপুর গ্রামের জুবেদ মিয়া (২২)।