নুর উদ্দিন সুমন ॥ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা হলেও স্থানীয় মানুষ এখনো গ্যাস সুবিধা থেকে বঞ্চিত। উৎসস্থলেই যখন বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তখন তা দেশের উন্নয়ন কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে-এমন অভিযোগে ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও স্থানীয়দের চাকরির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাহুবল নাগরিক ফোরাম। শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় রশিদপুর গ্যাসফিল্ডের প্রধান ফটকের সামনে ঘন্টাব্যাপী আয়োজিত মানববন্ধনে বাহুবলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শতাধিক নাগরিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাহুবল নাগরিক ফোরামের সদস্য ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ এবং পরিচালনা করেন হাফিজুর রহমান শাওন। বক্তব্য রাখেন- ফয়সল আহমেদ, খালিদ মোশাররফ, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর আহমেদ, মিনজাব সাহাম, নবীর আহমেদ, রিফাত আহমেদ, বজলুর রহমান, কাওছার মিয়া, মুফতি সুহেল, মাওলানা জয়নাল আবেদিন, সেলিম মিয়াসহ স্থানীয় শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ১৯৯৩ সাল থেকে রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হলেও বাহুবলের সাধারণ মানুষ আজও গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত। মানববন্ধনে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- বাহুবল উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস সংযোগ প্রদান, গ্যাসক্ষেত্র ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে স্থানীয় বেকার যুবকদের অগ্রাধিকার, এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয়দের সরাসরি সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করা।
বক্তারা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক মাসের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে জানান, বাহুবলে ঘরে ঘরে রশিদপুর গ্যাস না দিলে ‘গ্যাসের’ বদলে ‘রক্ত’ জাতীয় গ্রীডে ঢুকবে এবং দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা। রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্র সম্পর্কে জানা যায়- হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রটি ১৯৬০ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি আবিষ্কার করে। ১৯৭৫ সালে জাতীয়করণের পর বর্তমানে এটি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।