শ্রমিক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- তারেক রহমানকে নিয়ে যারা কটুক্তি করছেন আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বদৌলতে জামায়াতকে নির্মূলের জন্য শাহবাগের ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে বিপ্লব দেখেছি। সেই দিন ইমরান এইচ সরকারকে মানুষ বিকল্প প্রধানমন্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল। কিন্তু কালের আবর্তে ইমরান এইচ সরকাররা হারিয়ে গিয়েছে। আজকে যারা লাফালাফি করছেন, অন্যদলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কটুক্তি করছেন, আপনাদের লাগাম টানতে যদি ব্যর্থ হন তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইমরান এইচ সরকারের চেয়েও আপনাদের অবস্থান খারাপ হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের নির্লিপ্ততা, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার-অপপ্রচার ও মিডফোর্ডে পাশবিক হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং কুচক্রিমহল কর্তৃক আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২ টায় হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে জি কে গউছ আরও বলেন- বিএনপির মত একটি বড় রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়েও প্রতিপক্ষ ব্যথিত হউক এমন শব্দ আমরা ব্যবহার করি না। শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ৬ বছর কারাভোগ করেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ২ দিনের মাথায় আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন- আমরা যেন নিজেদের প্রতিহিংসা ভুলে যাই। আমরা যেন মানুষের ভালোবাসা হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারি। ভিন্ন মতের, ভিন্ন দলের, ভিন্ন ধর্মের মানুষ যেন আমাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এটাই হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার শিক্ষা, বিএনপির শিক্ষা, তারেক রহমানের শিক্ষা।
তিনি বলেন- দেশের জন্য দলের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। আমাদের সকলের প্রতিপক্ষ পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা পালিয়েছে ঠিকই কিন্তু তার দোসররা সমাজে প্রশাসনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারা বার বার বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা কারো পাতানো ফাঁদে পা দিব না। দলের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা এক সাথে মাঠে থাকবো।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জি কে গউছ বলেন- যদি দলের প্রতি সামান্যতম ভালোবাসা থাকে তাহলে শপথ নিতে হবে, নিজেরা কোনো অন্যায় করবো না, চাঁদাবাজি ধান্দাবাজির সাথে জড়াবো না, অন্য কাউকে জড়াতে দিবো না। আমাদেরকে ভালো কাজের মাধ্যমে বিএনপিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে হবে।
তিনি বলেন- আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য কঠিন পরীক্ষা। আমরা গণতন্ত্রের পরিবেশ ফিরে পেতে চাই। বিএনপি একটি বড় দল হিসেবে সকলকে নিয়ে ধৈর্য্যরে পরিচয় দিবো।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম ইসলাম তরফদার তনু’র সভাপতিত্ব্ েও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও হাজী এনামুল হক, সদস্য এম জি মোহিত, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম মতিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শামছু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মানিক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, জেলা শ্রমিকদলের সহ-সভাপতি ময়না মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ আনছারী রতন, সহ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, আব্দুল খালেক, আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম প্রমূখ।