
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জে ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় দূষিত বর্জ্য চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। এরমধ্যে প্রায় ২৮ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ হয়নি। ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে দূষিত বর্জ্য। ফলে নষ্ট হচ্ছে পৌর এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ।
পৌর এলাকার অনেক বাসিন্দা জানান, পৌরসভার শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়ক, খোয়াই নদীর বাঁধ ও মহাসড়কের পাশে খোলা পরিবেশে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এতে করে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, তেমনি দুর্গন্ধের কারণে ছড়াচ্ছে নানাবিধ রোগবালাই। বর্জ্যের দূষিত দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষদেরকে নাক চেপে ধরে চলাফেরা করতে হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ কারণের ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি, দ্রুত যেন ড্যাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, স্বাস্থ্যকর বাসযোগ্য নগরায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রায় ২৮ বছরের পুরনো শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় গৃহস্থালিসহ নানান ধরণের বর্জ্য পুকুর, ডোবাসহ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এতে করে জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই বাসা বাঁধছে মানবদেহে।
তিনি বলেন- পরিকল্পিত সুন্দর শহরে বসবাসের জন্য জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে পৌরসভার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। জনপ্রতিনিধিরাও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধিদের উচিত পরিবেশ-প্রতিবেশের দিকে নজর রেখে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৌরসভায় বসবাসকারীদের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তোলা। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা একটি সুন্দর জনপদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সড়ক বিভাগের জায়গাতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কোন সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।