স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামে ট্রাকচালক সুমন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। এতে সুমন মিয়ার মাথায় মারাত্মক আঘাত হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ জুন সুমন মিয়া বাদী হয়ে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (কগ-১), এ তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সুমন মিয়া উল্লেখ করেন, লস্করপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আব্দুল আহাদের কাছে গত তিন মাস আগে ১৫ হাজার টাকা মুল্যের একটি কাঠের শোকেস বানানোর জন্য সমুদ্বয় টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু কাঠমিস্ত্রী শোকেস দেই দিচ্ছি করে আর দেয়নি। তাই স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদেরকে বিষয়টি জানালে কাঠমিস্ত্রী আব্দুল আহাদ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুমন মিয়ার ওপর।

ঘটনার দিন গত ২৩ জুন কাঠমিস্ত্রী আব্দুল আহাদ মোবাইল ফোনে সুমন মিয়াকে জানিয়ে বলে বাড়ী থেকে শোকেস নেয়ার জন্য। যথারীতি সুমন মিয়া তার স্ত্রী ও ছোট বোনকে নিয়ে শোকেস আনতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আব্দুল আহাদ (৪৮), শিপন মিয়া (২২), তৌহিদ মিয়া (৩২) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রাক চালক সুমন মিয়ার উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং আক্রমণ চালায়। এসময় আব্দুল আহাদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে সুমন মিয়াকে লক্ষ্য করে আঘাত করলে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়। সুমন মিয়ার স্ত্রী ও বোন বাঁচাতে আসলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। এসময় তাদের শোরচিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌঁড়ে আসলে তারা পালিয়ে এবং সুমন মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুমন মিয়ার স্ত্রী ও বোন স্থানীয়ভাবে শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজারে চিকিৎসা নিয়েছে।

ট্রাকচালক সুমন মিয়া জানান- তার মাথায় ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এখনো ব্যথা হয়। এছাড়া ঘটনার দিন দুইদিনের গাড়ী চালানোর ইনকামের ৬০ হাজার টাকা তার পকেটে ছিল। যেদিন তার উপর হামলা করা হয় সেদিন উল্লেখিত ব্যক্তিরা তার পকেট থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।