আজমিরীগঞ্জে তোলপাড় ॥ প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশের ভূমিকা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ দুটি হত্যা মামলার আসামী হয়েও আজমিরীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নলিউর রহমান তালুকদার প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি তিনি নিজ গ্রাম শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে ঈদুল ফিতরের জামাতে বক্তব্যও দিয়েছেন। এনিয়ে গোটা আজমিরীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর কি কারণে শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের এই নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না- তা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশের ভূমিকাও।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়িতে সংঘটিত একটি হত্যাকা-ের আসামী হন নলিউর রহমান তালুকদার। এরপরও তিনি শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রকাশ্যে থেকে নিজ গ্রাম পশ্চিমভাগে তার জোরজবরদস্তি ও প্রভাব অব্যাহত রেখেছেন। গত ৬ মার্চ প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে পশ্চিমভাগ গ্রামের মদরিছ মিয়া তালুকদার নামে একজনকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকা-ের প্রধান অভিযুক্ত হলেন নলিউর। এছাড়াও আরেকটি সংঘর্ষের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- দুইটি হত্যাকা-ের অভিযোগ নিয়েও নলিউর রহমান তালুকদার প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছেন, আর হত্যা মামলার বাদিপক্ষকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতরের জামাতে নলিউর রহমান বক্তব্যও দিয়েছেন। এরপর থেকে আজমিরীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। পুলিশ এই ব্যাপারে সামান্যতম দায়িত্বও পালন করছে না বলেই নলিউর রহমান তালুকদার আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারছেন বলে মন্তব্য বাদীপক্ষের।
এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএম মাইনুল ইসলাম বলেন- নলিউর রহমান তালুকদার পশ্চিমভাগ গ্রামে একটি হত্যা মামলার আসামী হিসেবে জানলেও বৈষম্যবিরোধী মামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। ঈদের জামাতে যে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন তাও জানি না। তবে পলাতক আসামী হিসেবে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।