
অনিবন্ধিত ও লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন মসলার মোড়কজাত করে বাজারজাতের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ গেইট সংলগ্ন শাহীন এগ্রো প্রোডাক্ট এন্ড বেভারেজ মসলা কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে জেলা খাদ্য অফিসার মো: শাকিব হোসাইনের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস এর নেতৃত্বে উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ গেইট সংলগ্ন শাহিন মসলার হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া গুঁড়া মসলার কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মশলা উৎপাদন ও সংরক্ষণ কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ না থাকা, খাদ্য উপকরণ এবং ফাইনাল প্রোডাক্ট সংরক্ষণে অব্যবস্থাপণার কারণে ১ লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রনজিৎ চন্দ্র দাস জানান, ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহিন মসলার মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মশলা উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে দেখা যায়। কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ না থাকা, খাদ্য উপকরণ ও ফাইনাল প্রোডাক্ট সংরক্ষণে অব্যবস্থাপণার কারণে মশলায় ছত্রাকঘটিত বিষ আফলাটক্সিন এর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরী হচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়। এছাড়া অনিবন্ধিত অবস্থায় ও লাইসেন্সবিহীন বিভিন্ন ধরণ ও মাপের মশলা মোড়কজাত করে তা বাজারজাত করতে দেখা যায়। এ সময় মালিক অনুপস্থিত থাকায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানাজার সুহেল মিয়াকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুসারে এক লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়।
তিনি আরও জানান, ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ রয়েছে মিল মালিক শাহিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল মসলা মিশিয়ে ধনে, হলুদ ও মরিচের গুড়া উৎপাদন করে আসছিলেন। এসব ভেজাল মসলা পাইকারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে যেতো উপজেলা সহ জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকার দোকানে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা খাদ্য অফিসার জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে সাথে নিয়ে মসলা মিলটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মিল মালিক পালিয়ে যায়। আদালতকে সহযোগিতা করে চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক মৃদুল ভৌমিকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম।