‘কাঠের কেল্লা’ আইডি শনাক্ত করেছে পিবিআই
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলের ‘কাঠের কেল্লা’ নামক ভূয়া ফেসবুক আইডি থেকে রাজনীতিবিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে মানহানিকর পোস্ট ও মিথ্যা তথ্য প্রচারণাকারীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। পিবিআই’র দীর্ঘ অনুসন্ধানী তদন্তে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দায়েরকৃত মামলায় জাহাঙ্গীরকে আসামী চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত চার্জশীট গ্রহন করে ভূয়া কাঠের কেল্লার আইডির এডমিন দুবাই প্রবাসি জাহাঙ্গীর মিয়ার বিরুদ্ধে আদালত সমন জারি করেছেন। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মিয়া বাহুবল উপজেলার আব্দানারায়ন গ্রামের ইছাক মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ জুন কাঠের কেল্লা নামক একটি ফেসবুক আইডি থেকে পুটিজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: মুদ্দত আলীর ছবি আপলোড করে তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস প্রদান করেন। এরপর থেকে ওই আইডি থেকে মুদ্দত আলীর বিরুদ্ধে মানহানিকর এবং পারিবারিক আক্রমণাত্মক পোস্ট ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হয়। যা মানহানিকর ও অসৌজন্যমূলক।
বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী জানতে পেরে কাঠের কেল্লা নামক ভূয়া ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ৩ জুলাই আদালত মামলাটি তদন্ত করার জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআই’র তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আহাদ তথ্য প্রযুক্তি ও হোয়াটসআপের মাধ্যমে দীর্ঘ তদন্ত করে শনাক্ত করেন আইডির এডমিন প্রবাসি জাহাঙ্গীর।
এরপর তদন্তকারী কর্তকর্তা জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে ইউপি চেয়ারম্যান মুদ্দত আলীসহ সম্মানীত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রচার করার অভিযোগে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে গত ১০ অক্টোবর সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রেক্ষিতে গত ১৩ নভেম্বর শুনানী শেষে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীর মিয়াকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবদুল আহাদ জানান, এ ধরনের মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া বেশ জটিল প্রকৃতির হলেও ১৬টি স্ক্রিনশট ও ৬টি মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষার মতামত, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটা কর্তৃক প্রদত্ত রিপোর্ট, এলআইসি পিবিআই কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য, ইমু ও হোয়াটসআপের সহায়তা সহ তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু মুদ্দত আলীকে নয় সামজের গণ্যমান্য রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সরকারী কর্তকর্তা ও সাংবাদিকদের নিয়ে কাঠের কেল্লা থেকে মানহানিকর পোস্ট প্রদান করা হয়েছে। যা অনেকের মানহানিকর হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো বলেন, কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হওয়া জরুরী, তাহলে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভয় পাবে।