নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারের লোকজন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে মোস্তাক আহমেদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অটিজম বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরদিন ৬ আগস্ট বিকেলে ফাহিম চৌধুরীর বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘটনার সময় ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম চৌধুরী ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম চৌধুরীর পারিবারিক সূত্র জানায়, ফাহিম চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র লেখাপড়ার সুবাদে ঢাকাতেই থাকেন বৎসরে দু’তিনবার ছুটিতে হবিগঞ্জে আসেন। এদিকে ২ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের সাথে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মোস্তাক আহমেদ নামে এক পথচারী যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো অর্ধশতাধিক লোকজন। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাইম আশরাফ চৌধুরী। এদিকে ৫ আগস্টের পর থেকে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব শুরু হয়েছে এবং বিএনপি-জামায়াত ও ক তিপয় দুষ্কৃতিকারী লোকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম চৌধুরীর বাসায় হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তার বাসায় ব্যাপক ভাংচুর করে এবং অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় বাসার ভিতরে প্রবেশ করে হামলাকারীরা ফাহিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তিনি হবিগঞ্জের বাসায় না থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। হামলার পর থেকে ফাহিম চৌধুরীর পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন।
ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম চৌধুরীর বড় ভাই সজ্জন ব্যক্তি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ জানান, আমরা নিরীহ মানুষ। আওয়ামী পরিবারের সাথে জড়িত বলে বিএনপি-জামায়াত ও কতিপয় দুষ্কৃতিকারী লোকজন আমাদের বাসভবনে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা আমার ছোট ভাই ফাহিম চৌধুরীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে বাসায় না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছোট ভাই জাবেদ চৌধুরী ও ইজাজুর রহমান চৌধুরী পলাশসহ আমাদের পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় কৌশলে আমরা পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। তারা পুনরায় যে কোন সময় আমাদের উপর হামলা করবে এবং জানমালের আরও ক্ষতিসাধন করবে। এ ঘটনার পর থেকে আমরা পরিবারের লোকজন বাসা-বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।