কোন কাজ না করেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তরা মাসের পর মাস বেতন সহ যাবতীয় সুবিধা ভোগ করছেন
সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইয়ে কোন কাজে আসছে না বন্যা দুর্গতদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট। লাখাই উপজেলায় বোটটি কোন কাজে না আসলেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত ২ জন বেতন নিচ্ছে মাসের পর মাস। অযতেœ অবহেলায় বিনষ্ট হচ্ছে বোটের সরঞ্জাম। যেন দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকা মূল্যের বন্যা উপদ্রব জেলার জন্য বানিয়াচং- হবিগঞ্জ-২ মাল্টি পারপাস বোট দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামের পার্শ্ববর্তী সুতাং নদীতে ভাসমান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গত ২ বছরের ভিতরে ওই মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট কোন কাজে ব্যবহার করা হয়নি। এটি ব্যবহারের আগেই বিকল হয়ে গেছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুইজন লোক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মোঃ মঈন উদ্দিন ও সাদেকুর রহমান সাদেক। মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোটের কোন প্রকার কার্যক্রম না থাকায় তারা বসে বসে বেতন ভাতা সহ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান- অনেক দিন ধরে বোটটি পশ্চিম বুল্লা কবর স্থানের কাছে সুতাং নদীতে দেখছি। এটি কোন কাজে ব্যবহার হতে দেখিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রফিকুল ইসলাম রকিবের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমি লাখাই উপকেলায় যোগদান করার পর আমার কার্যালয় সূত্রে যতটুকু জানতে পেরেছি বন্যা উপদ্রব জেলার জন্য এই মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট ২ বছর পূর্বে ৪২ লাখ টাকায় ক্রয় করা হয়েছিল। কিন্তু ২ বছরের ভিতরে কোন দিন কোন কাজে এটি ব্যবহার করা হয়নি। এর ভিতরেই এই মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। ঝড় তুফানে বোটের ত্রিপল চিড়ে গেছে, বোটে পানি জমে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলে সেলু মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচের ব্যবস্থা নিতে হয়। তা না হলে পানিতে ডুবে গেলে বোটটি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান- বোটে কর্মরত যারা আছে তারা চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত। প্রতি জুন মাসে চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে তারা বেতন ভাতা ভোগ করে থাকেন। এই মাল্টি পারপাস রেসকিউ বোট বিকল অবস্থায় পড়ে আছে মর্মে বহুবার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি চালাচালি করেও কোন প্রকার সুরাহা করা সম্ভব হয়নি।