শায়েস্তাগঞ্জে বিএনপির গণদোয়া মাহফিলে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে দেশের ছাত্র-জনতা যুদ্ধ করে পাকহানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ স্বাধীন করেছে। ২০২৪ সালে আবারও ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। তিনি গতকাল রবিবার বিকেলে রেলপার্কিং এলাকায় শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ও উপজেলা বিএনপির গণদোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় এই গণদোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে জি কে গউছ আরও বলেন- সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। আর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের লোকজন পরিকল্পিতভাবে দেশে ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িতে হামলা করেছে, লুটপাট করেছে, ভাংচুর করেছে। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে নেমেছে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
তিনি বলেন- গত ১৭টি বছর বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় আসামী হয়েছি, জেল খেটেছি। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এই শায়েস্তাগঞ্জে একজন প্রার্থী হিসেবে প্রচারণায় এসেছিলাম। সেই দিন আমি সহ আমার দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছিল, আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। একজন ম্যাজিস্ট্র্রেট বিজিবি নিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করেছিলেন। সেই দিন আওয়ামী লীগের যে নেতার নির্দেশে আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল, সেই নেতা গত ৪ আগস্ট সারাদিন নিজ বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাকে উদ্ধার করেছে। এটাই হচ্ছে আল্লাহর বিচার। শায়েস্তাগঞ্জে সেই দিন যারাই ওই অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলেন, আমরা ইচ্ছা করলেই তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারি। কিন্তু আমাদের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন- ধ্বংস নয়, প্রতিশোধ নয়, প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করতে চাই। তাই আমাদেরকে সবুর করতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।
জি কে গউছ বলেন- আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। দিনের ভোট রাতে নিয়ে যারা ভোট ডাকাতি করে জনপ্রতিনিধি হয়েছেন, তাদের দুই পয়সার মূল্য প্রশাসনের নিকট, বাংলাদেশের মানুষের নিকট ছিল না। তাই জনরোষের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীদের পালাতে হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মেয়র ফরিদ আহমেদ অলির সভাপতিত্বে এবং পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু তাহেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত গণদোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক ছমির আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান শাকিম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ সলিম উল্লাহ, নিজামুল ইসলাম বেলাল, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসান রিপন, সদস্য সচিব ফাহিম হোসেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সুমন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হোসেন সান্টু, বিএনপি নেতা আব্দুল হাই, আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার, নুরুল হোসেন বাচ্চু, শফি কাইয়ুম, আব্দুস শহীদ মেম্বার, রাব্বির হাসান ছোয়াব, নুরুল ইসলাম এংরাজ, সাইফুল ইসলাম রানা, ইলিয়াস মিয়া, আকছির মেম্বার, সেলিম মিয়া, হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা মোহাম্মদ শাহ আলম, তোফায়েল আহমেদ মনির, আরিফ হোসেন খোকন, মোহাম্মদ সামছু, ফজল মিয়া রাসেল মিয়া, মোসাঙ্গীর, পারভেজ আহমেদ, মনিরুল হক রানা, রোশন আলী, ইমান উদ্দিন, কামাল পন্ডিত প্রমূখ।