স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জেও পুলিশ হত্যার বিচার ও ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা ২টায় হবিগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কয়েকশ’ পুলিশ ‘১১ দফা মানতে হবে’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, বিচার চাই’, ‘পা চাটা দালালরা, হুশিয়ার সাবধান’ এসব শ্লোগান দেন।
বিক্ষোভকারী পুলিশ সদস্যরা বলেন- স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে এই পুলিশ দেশ গঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু কতিপয় সুবিধাভোগী উর্র্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বৈরাচারি মনোভাব ও তাদের অবৈধ কার্যক্রমের কারণে দেশে পুলিশের ভাবমূর্তি অপূরণীয়ভাবে ক্ষুন্ন হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে অসংখ্য পুলিশ সদস্য নিহত হন। যাদের সবাই কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত। এত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো বাহিনীর মনোবল একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় সকল পুলিশ হত্যার বিচার ও ১১ দফার ভিত্তিতে পুলিশের সংস্কারের দাবি জানিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল পালন করেন তারা। যৌক্তিক দাবীগুলো পূরণ না হলে তারা কর্মবিরতি কর্মসূচী ত্যাগ করবেন না বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। একইসাথে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনারও দাবী জানান।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার, ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করতে বাধ্য না করা, বেশি ডিউটি করলে ওভার ডিউটির সুবিধা প্রদান, শুক্রবার-শনিবারসহ সব সরকারি ছুটি ভোগের সুযোগ প্রদান, দেশের স্বার্থে ছুটি কাটাতে না পারলে অতিরিক্ত কর্মদিবস হিসাবে আর্থিক সুবিধা প্রদান, সোর্স মানি প্রদান, ঝুঁঁকিভাতা বৃদ্ধি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশদানে সংবিধান ও জনগণের মনের কাক্সিক্ষত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া, পুলিশকে রাজনীতিমুক্ত রেখে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ নিশ্চিত করা, নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করা, পদোন্নতির পদক্ষেপ গ্রহণ করে বৈষম্য দূর করা, বদলির ক্ষেত্রে নিজ জেলার নিকটবর্তী জেলার প্রাধান্য নিশ্চিত করা, পুলিশ সংস্কার আইন প্রণয়ন করা। কর্মসূচিতে কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।